নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ঢাকা চেম্বার।

আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত আট মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি; বরং দিন দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তাতে ব্যবসায়ীরা সবাই ভয়ে আছেন। এ অবস্থায় ছিনতাই-চাঁদাবাজির আতঙ্ক থেকে মুক্তি চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আজ বুধবার এ কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে উন্নত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা নিয়ে মতিঝিলে চেম্বার ভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মতো অপরাধের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি কার্যকর অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা গঠন করা প্রয়োজন। এ ছাড়া রাতের বেলা পণ্য পরিবহন নিরাপদ করতে করিডরভিত্তিক মোবাইল টিম সক্রিয় করার পরামর্শ দেন তাঁরা।
স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনিরাপদ পরিবেশ, চাঁদাবাজি, প্রতারণামূলক অনলাইন কার্যক্রম, পণ্য পরিবহন ঝুঁকি, জালিয়াতি প্রভৃতি প্রতিবন্ধকতার কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ও বিনিয়োগে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন।
সরকাররে উদ্দেশে তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘আপনারা একদিকে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার কথা বলছেন; অন্যদিকে উদ্যোক্তাদের গ্যাস-বিদ্যুৎ দিতে পারছেন না। দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পারছেন না। সুদহার বাড়িয়ে বসে আছেন। এ কারণে অনেক ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়গুলোর নেতিবাচক প্রভাব শেষ পর্যন্ত আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একটাই দাবি, নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার নিশ্চয়তা।’
সম্প্রতি দাবিদাওয়া নিয়ে শাহবাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরুদ্ধ করে আন্দোলনের ঘটনা ঘটছে। এ প্রসঙ্গে তাসকীন আহমেদ বলেন, দাবি আদায় গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের অংশ। তবে অর্থনীতির এ কঠিন সন্ধিক্ষণে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের দৈনন্দিন কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকেও সবার নজর দেওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে নির্ধারিত আলোচনায় রাজধানীর বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা কথা বলেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সালাম বলেন, ব্যবসায়ীরা নিয়মিত কর-ভ্যাট দিলেও বর্তমানে তাঁরা ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এক কথায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
বাংলাদেশ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, স্থলবন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দালালের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করতে গিয়ে ব্যবসার ব্যয় বাড়ছে। মৌলভীবাজার এলাকায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে ট্রাকস্ট্যান্ড থাকায় বাবুবাজার ব্রিজে তীব্র যানজট হচ্ছে, ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীদের নগদ টাকা পরিবহনের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যাকালীন পুলিশি টহল বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল হাসেম বলেন, ‘মাঝেমধ্যে মহাসড়ক থেকে চিনির ট্রাক ছিনতাই হয়। ছিনতাইয়ের ভয়ে রাতে বাসা থেকে বের হতে পারি না, রিকশায় চড়তে পারি না। এই আতঙ্ক থেকে আমরা মুক্তি চাই।

আরও পড়ুন