আমারদেশ২৪নিউজ।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
সিলেট থেকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ ফেরার পথে চলন্ত বাসে চালক ও হেলপার দ্বারা এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাব্বির মিয়া (২৭) নামে চালককে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
১২টার দিকে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থল পুলিশ সুপার (এসপি) এএনএম সাজেদুর রহমান। পরে সোমবার সকালে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকায় ওরিয়েন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী। ৯মাস আগে তার বিয়ে হয়।
রোববার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহণ’-এর একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও, ঘুমিয়ে পড়ার কারণে বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়।
সিলেটে পৌঁছানোর পর ঘুম ভাঙলে তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিলেট-নবীগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাসে ওঠেন। বাসটি বিভিন্ন স্টপেজ থেকে যাত্রী উঠানো-নামানোর সময় ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে পড়ে। শেরপুর এলাকায় পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীরা নেমে গেলে ওই শিক্ষার্থী বাসে একা হয়ে পড়েন।
এরপর চলন্ত অবস্থায় বাসের হেলপার লিটন মিয়া এবং পরে চালক সাব্বির মিয়া পালাক্রমে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে কিশোরীটি জোরে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ছালামতপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের গতিরোধ করে চালক সাব্বির মিয়াকে আটক এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযুক্ত হেলপার লিটন মিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বাস থেকে পালিয়ে যায় এবং বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মুমিন উদ্দিন চৌধুরী জানান, ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পালিয়ে থাকা আসামিকে গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. আকতারুজ্জামান বলেন,- গ্রেফতার বাস চালক সাব্বির মিয়াকে সোমবার বিকালে আদালতে প্রেরণ করা হবে। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করা হবে।